জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর মামলা হয়েছে। এজাহারে আসামি হিসেবে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবু, তাঁর ছেলেসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে।
সাংবাদিক গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে আজ শনিবার বেলা একটার দিকে বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমকে। তাঁকে আজ সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে মাহমুদুলের ছেলে ফাহিম রহমান ওরফে রিফাতকে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী এখন মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ ২২ জনের নাম এবং আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মাহমুদুল আলম সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁকে গতকাল রাতে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। তাঁর নির্দেশেই সাংবাদিক গোলাম রব্বানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। এ সময় তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।