কেশবপুরে সাংবাদিককে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

যশোর জেলার মানচিত্র
যশোর জেলার মানচিত্র

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে বিভিন্ন সংবাদ করায় জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধিকে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পৌর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী গত শুক্রবার রাতে এ হুমকি দেন।

এ খবর জানার পর কেশবপুরে কর্মরত সাংবাদিকেরা রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, যশোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার। শাহীন চাকলাদার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে ওই আসনের সংসদ সদস্যও।

স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক কল্যাণ পত্রিকার প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ। তিনি কেশবপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদকও। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শহরের ত্রিমোহিনী মোড় চত্বরে একটি চায়ের দোকানে তিনি বসেছিলেন। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী এসে তাঁর কাছে জানতে চান, কেন তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ করছেন? এ সময় আলমগীর তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মীদের সাংবাদিক ফুয়াদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখন কেশবপুর থানার একটি টহল পুলিশ দল ঘটনাস্থলে এসে গেলে, তাঁরা চলে যান।

এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক নিগ্রহের প্রতিবাদে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ উজ জামান খান। আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুর রহমান, আবদুল হাই সিদ্দিকী, নূরুল ইসলাম খান, দিলীপ মোদক, উৎপল দে, শামছুর রহমান, আবদুল কুদ্দুস, কামরুজ্জামান। সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করবেন।
অভিযোগের বিষয়ে আলমগীর সিদ্দিকী বলেন, আবদুল্লাহ আল ফুয়াদকে তিনি কোনো হুমকি দেননি। এমনকি ফুয়াদের সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়নি।
নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সামাদ বলেন, ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানান। এ ঘটনাটি আলমগীর সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত বিষয়। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।