সিলেটে মহানগর বিএনপির বর্ধিত সভায় নেতাদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একাধিক নেতা দলের মহানগরের সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরের ভাতালিয়া এলাকায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী ওরফে পংকীর বাসভবনে এ সভা হয়। সভায় ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর বিএনপির কমিটির ২৬ জন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় থাকা একাধিক নেতা জানিয়েছেন, কমিটির সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দলে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে বিভেদ তৈরির অভিযোগ এনে কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। সভায় মিফতাহ সিদ্দিকী তাঁর বক্তব্যে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তখন হট্টগোল শুরু হয়।
এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর মহানগর বিএনপির আওতাধীন সব কটি ওয়ার্ডে দ্রুত কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় কোনো হট্টগোল বা ঝামেলা হয়নি দাবি করে আবদুল কাইয়ুম জালালী প্রথম আলোকে বলেন, মিফতাহ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন বহিষ্কৃত নেতা তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। এতে তিনি লেখেন, গত রমজান মাসে মহানগর বিএনপির একজন যুগ্ম আহ্বায়ককে মারধর করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দলের ওই নেতাকে বহিষ্কার করে। মহানগর বিএনপির ওই যুগ্ম আহ্বায়ককে তিনি মিফতাহ সিদ্দিকীর নির্দেশে মারধর করেছিলেন। অথচ মিফতাহের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতার অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে বর্ধিত সভায় কয়েকজন নেতা মিফতাহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। এ নিয়ে মিফতাহও বক্তব্য দেন।
জানতে চাইলে মিফতাহ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন বহিষ্কৃত নেতা আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। বিএনপির সভায় অঙ্গসংগঠনের বহিষ্কৃত এক নেতার অভিযোগ নিয়ে আলোচনার মানে নেই বলে আমি মনে করি। বৈঠকে এ বিষয়টিই আমি বলেছি। তবে সভায় কোনো হট্টগোল হয়নি। পরে আলোচ্যসূচি ধরে শান্তিপূর্ণভাবে সভা শেষ হয়েছে। দলের সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। মহানগর বিএনপিতে কোনো বিভেদ নেই।’