ফেনীতে পুলিশের সংঘর্ষের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরছাড়া বিএনপি নেতা-কর্মীরা

ফেনীতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ট্রাংক রোডে
ছবি: প্রথম আলো

ফেনীতে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। গত মঙ্গলবার পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় ৮৮ জনের নাম–ঠিকানা উল্লেখ করে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার না করলেও আতঙ্কে ঘরছাড়া হয়েছেন অনেকে।

গত মঙ্গলবার রাতে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) হায়াত উল্ল্যাহ বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল খালেক, এয়াকুব নবী, সদস্যসচিব আলাল উদ্দিনসহ ৮৮ জনের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ পূর্বপরিকল্পিতভাবে মামলা করেছে। সারা জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। যাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে কেউ আন্দোলনে অংশগ্রহণ না করেন। এত বেশিসংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে, যাতে কোনো সাধারণ সমর্থকও মাঠে থাকতে না পারেন।

আলাল উদ্দিন বলেন, এসব করে বিএনপিকে মাঠছাড়া করা যাবে না। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন দিতেই হবে। গ্রেপ্তার এড়াতে নেতা-কর্মীরা ঘর ছাড়লেও এলাকা ছাড়েননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলেও শহরের ইসলামপুর রোডে লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তির স্মরণে সভা ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। মামলা-হামলা করে আন্দোলন দমানো যাবে না।

ফেনী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা ও নিগ্রহ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের আসামি করা হয়েছে। শহরের সব পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অজ্ঞাতনামা আসামি শনাক্ত করা হবে। সাধারণ লোকজন যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা হবে।