নোয়াখালী শহরে হঠাৎ পুলিশি তৎপরতা দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে থানা-পুলিশের পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা একযোগে মোটরসাইকেল, পিকআপসহ পুলিশের অন্যান্য গাড়ি নিয়ে শহরজুড়ে টহল দেন। এ সময় বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে যানবাহন ও লোকজনকে তল্লাশি করা হয়। জেলার সব কটি উপজেলায় একই অভিযান পরিচালিত হয়। তবে পুলিশের এমন তৎপরতাকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন শহরের বাসিন্দারা।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইভ টিজিং, মাদক, কিশোর গ্যাং, নারী নির্যাতন, অস্ত্রবাজি, অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে পুলিশের উপস্থিতি জানান দিতে এবং সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে জেলা শহরসহ জেলার নয়টি উপজেলায় একযোগে বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের অংশ হিসেবে জেলা শহরের নোয়াখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, মাইজদী পাবলিক কলেজ, নোয়াখালী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, সার্কিট হাউসের সড়কের মোড়, পাঁচ রাস্তার মোড়, মাইজদী বাজার, মাস্টারপাড়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একযোগে টহল দিতে দেখা যায়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করা হয়।
শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের এমন তৎপরতা শহরের মানুষের জন্য অবশ্যই স্বস্তির। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে পাড়া-মহল্লায় এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের আশপাশে কিশোর-তরুণদের বাজে আড্ডা সাধারণ নাগরিকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পুলিশ নিয়মিতভাবে এ ধরনের টহল বা তল্লাশি অভিযান করলে কিশোর অপরাধীরা বেপরোয়া হওয়ার সুযোগ পাবে না।
জেলা শহরের টহলের নেতৃত্ব দেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোরুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও। ওসি আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সব সময়ই সজাগ রয়েছে। এরপরও সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত এবং অপরাধীদের সতর্ক করার জন্য একযোগে এ অভিযান চালানো হয়েছে। তবে এ সময় কাউকে আটক করা হয়নি।
জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইভ টিজিং, মাদক, কিশোর গ্যাং, অস্ত্রবাজি—সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলাব্যাপী পুলিশের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সবার কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য।