পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ক্রেতা সেজে ১৭ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বানুরহাট এলাকা থেকে মূর্তি বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মূর্তিটি জব্দ করা হয়।
মূর্তিটির বাজারমূল্য আনুমানিক সাত কোটি টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বন্দিরাম এলাকার শাহীন শাহ (৪০), তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার হাবিবুর রহমান (৪৮) ও একই উপজেলার তেঁতুলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম (৫৫)।
পুলিশ জানায়, কষ্টিপাথরের মূর্তি কেনাবেচা চক্রের সদস্যদের ধরতে বেশ কয়েক দিন ধরে তৎপরতা চালাচ্ছিল ডিবির একটি দল। দেবীগঞ্জ উপজেলার বানুরহাট এলাকার ওষুধ বিক্রেতা শাহীন শাহ বিষ্ণুমূর্তি বিক্রির মাধ্যম হিসেবে কাজ করছেন বলে জানতে পারে ডিবি। ক্রেতা সেজে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুলিশ সদস্যরা। এমনকি কষ্টিপাথরের একটি মূর্তির দরদামও করা হয়। কথামতো গতকাল সন্ধ্যায় শাহীন শাহর ওষুধের দোকানে একটি ব্যাগে করে বিষ্ণুমূর্তিটি দেখাতে নিয়ে আসেন তেঁতুলিয়ার কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার হাবিবুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ডিবির দল দোকানটি ঘেরাও করে তাঁদের তিনজনকে আটক করে মূর্তিটি ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
হাবিবুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম বিষ্ণুমূর্তিটি পাথরের কোয়ারিতে পেয়েছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। উদ্ধার করা কষ্টিপাথরের মূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। মূর্তিটির উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১১ ইঞ্চি। আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা বলে জানিয়েছে ডিবি।
পঞ্চগড় গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় রাতেই দেবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ আদালতে তোলা হবে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কষ্টিপাথরের মূর্তিটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।