কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের সহযোগিতা না পেয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রয়োজন আছে বলেই নৌকা এখানে তাঁকে ছাড়তে হয়েছে। নিশ্চয়ই একটা কিছু গুরুত্ব আছে, নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে।
মুজিবুল হক আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাবার মার্কা নৌকা, ওনার (শেখ হাসিনার) ফাদার ’৭০ সালে এই নৌকা দিয়ে ইলেকশন করেছে। পরে শেখ হাসিনা তার মার্কা, এত প্রিয় মার্কাটা এখান থাইকা ছাড়তে হইছে কলম দিয়া। এটা নিশ্চয়ই ওনার কোনো প্রয়োজন আছে বলেই ছেড়েছেন। এ বিষয়টা যদি আওয়ামী লীগের লোকেরা না বুঝে। তাদের এই কারণটা, পলিটিকসটা বুঝা উচিত, তাদের দলকে সহযোগিতাকে কতটুকু, কীভাবে হচ্ছে, যদি না বুঝে তাহলে তারা মূর্খ।’
মুজিবুল হক শুক্রবার রাতে নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামে ‘সর্বস্তরের জনসাধারণকে’ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার অংশ ছিল এই মতবিনিময় সভা।
এর আগে নির্বাচনী পোস্টারে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি নিজেকে ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ হিসেবে উল্লেখ করেন চুন্নু। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনটিতে লাঙ্গল প্রতীককে ছাড় দিয়ে নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের মনোনয়ন তুলে নেয় আওয়ামী লীগ।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, ‘এখন নির্বাচন আসছে, অনেক আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা আছেন, আপনারা যাঁরা আওয়ামী লীগ আছেন, আপনাদেরকে বলব যে আমি নির্বাচনে এমপি হইলে একটা কিছু হয়ে গেলাম, তা না। মন্ত্রী হইলে কিছু হয়ে গেলাম তা না। এগুলো আমার জন্য পুরোনো।’
মুজিবুল হক বলেন, ‘মন্ত্রীর প্রতি আমার এত খায়েশ নাই। আমি এমপি হইলে মানুষের জন্য কথা বলতে পারি, এটা আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। পার্লামেন্টে কথা বলা, এগুলো আমি পারি। পারার মতো জ্ঞানবুদ্ধি আল্লাহ আমারে যথেষ্ট দিছে।’
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক। আসন সমঝোতায় নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খানকে সরে দাঁড়াতে হলেও মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁরা প্রচারে সক্রিয় রয়েছেন। নৌকার ছাড়ের পরও ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন স্বতন্ত্ররা।