আরফাতুর রহমান
আরফাতুর রহমান

ত্রাণ তহবিলে যুবদলের সাবেক নেতার দেওয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত দিল বিএনপি

বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির তহবিলে বগুড়া জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরফাতুর রহমানের (আপেল) দেওয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী (এ্যানী) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরফাতুর রহমানকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির তহবিলে আপনি ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন। আপনার সামাজিক সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত তা গ্রহণ করা হয়েছিল, যা ত্রাণ সংগ্রহ নীতিমালার পরিপন্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণ তহবিলে আপনার দেওয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত পাঠানো হলো।’

জেলা যুবদল সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২৯ জুলাই জেলা যুবদলের সম্মেলনে গঠিত কমিটিতে আরফাতুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক হন। পরে ২০১২ সালের কমিটিতে তাঁকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন বগুড়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার। সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়তা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে ২০১৮ সালে তিনি যুবদল থেকে বাদ পড়েন। পরে বিএনপিতে আর জায়গা হয়নি তাঁর।

কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সময়ই নানা বিতর্কিত কাণ্ডে জড়ান আরফাতুর। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে আন্দোলনের সময় নিষ্ক্রিয় ছিলেন। যুবদলের নেতা-কর্মীরা যখন মামলায় জেল খেটেছেন, তখন তিনি বিদেশে আয়েশি জীবন যাপন করেছেন। পরে দেশে ফিরে ঢাকায় জমির ব্যবসায় জড়ান। বনানী ক্লাবের পরিচালক হওয়ার সুবাদে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়া পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আমলাদের সঙ্গে তাঁর ওঠবস ছিল।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল বাছেদ বলেন, একসময় যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও আরফাতুরের সঙ্গে এখন দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর ওঠবস ছিল। তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিতেন। বিএনপির আদর্শের পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকায় ত্রাণ তহবিলে দেওয়া তাঁর অর্থ ফেরত দেওয়া হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।