কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মো. ওমর সানীকে খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবদিয়াপাড়া থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—বদরখালীর কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামের ফাহাদ বাবু (১৯), মো. সায়েম (২৩) ও সন্দেহভাজন আসামি মো. মিজান (২০)। অটোরিকশায় মাদক বহন করতে রাজি না হওয়ায় ওমর সানীকে মাদক কারবারিরা রাতভর নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, গত ২৭ নভেম্বর রাতে যাত্রী নিয়ে চকরিয়া যাওয়ায় গ্যারেজে অটোরিকশা জমা দিতে দেরি হয় ওমর সানীর। এতে রুবেল নামের একজন তাঁকে চুরির অপবাদ দেন। এ সময় ফাহাদসহ চক্রের অন্য সদস্যরা গ্যারেজে ডেকে নিয়ে ওমর সানীকে রাতভর কিল–ঘুষি–লাথিসহ লোহার রড, কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর ও নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ফোন করে ওমর সানীকে হাসপাতালে নিতে বলেন তাঁরা। মুমূর্ষু অবস্থায় পরদিন সকালে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ওমর সানীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ওমর সানীর বাবা ফাহাদ, সায়েমসহ আটজনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
অটোরিকশায় মাদক বহন করতে রাজি না হওয়ায় ওমর সানীকে মাদক কারবারিরা রাতভর নির্যাতনের পর হত্যা করেন বলে জানান এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার যুবকেরা ফাহাদ বাবুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্যরা মাদকের ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই, মারামারিসহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। নিহত ওমর সানী এই চক্রের সদস্য রুবেলের একটি অটোরিকশা ভাড়ায় চালাতেন। এর সুবাদে রুবেল প্রতিনিয়ত ওমর সানীকে মাদক পরিবহনের জন্য চাপ দিতেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের আজ শুক্রবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।