চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পারিবারিক কলহের জের ধরে জমির উদ্দীন চৌধুরী (৪৩) নামে এক যুবলীগ নেতা তাঁর স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীর নাম বিউটি আকতার (৩৫)। স্ত্রীকে হত্যার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজের মা শামসুন নাহারকে (৫৮) ছুরিকাঘাত করেন জমির উদ্দিন। ওই অবস্থায় মাকে আটকে রাখেন তিনি। জমির মানসিকভাবে অসুস্থ বলে জানা গেছে।
পরে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে ঘাতক স্বামী, আহত মা ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। তাঁর মাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চন্দনাইশ থানার ওসি জানান।
গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের উত্তর হাসিমপুর ছৈয়দাবাদ গ্রামে। জমির ছৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত নাসির উদ্দীন চৌধুরীর ছেলে। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানায়, জমির উদ্দীন চৌধুরী প্রায় তিন মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তবে পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন সেটি বললেও মানসিক সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে কোনো চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, গতকাল জমির উদ্দিন তাঁর নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রী বিউটি বেগমকে জবাই করে হত্যা করেন। এ সময় জমিরের মা তার পুত্রবধূকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে ঘরে আটকে রাখেন জমির।
খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ও চন্দনাইশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় অনেক তাঁকে বুঝিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা পর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। এরপর বিউটি আকতারের লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি পুলিশ আহত শামসুন নাহারকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। ঘাতক জমিরকেও আটক করা হয়।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, চন্দনাইশের দায়িত্বরত সেনাবাহিনী ও চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।