হিলি স্থলবন্দরে এক দিনেই এল রেকর্ড ১৮০০ টন আলু, তবে দামে প্রভাব পড়েনি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড চত্বরে খালাসের অপেক্ষায় ভারতীয় আলুবোঝাই ট্রাক
ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভারত থেকে ৭১টি ট্রাকে ১ হাজার ৮১৮ টন আলু হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এটি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনে আলু আমদানির নতুন একটি রেকর্ড।

সূত্র আরও জানায়, ভারত থেকে গ্রানুলা (সাদা) ও কার্ডিনাল (লাল) জাতের আলু আমদানি হচ্ছে। এর আগে গত ২ অক্টোবর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১২৫টি ট্রাকে ৩ হাজার ৩০৫ টন আলু আমদানি হয়েছে।

তবে এই আমদানিতে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা করে কমলেও আশপাশের উপজেলাগুলোতে আলুর দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে।

বর্তমানে এলাকায় আলুবীজ বপনের মৌসুম চলায় এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হিমাগারে আলুসংকট থাকায় বাজারে দামও বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় আলু ব্যবসায়ীরা। গতকাল পর্যন্ত বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হলে শুক্রবার সকাল থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ঝাউ বিলেতি আলু এক সপ্তাহ ধরে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজারের সবজির পাইকারি বাজারের আলু ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে আলুর চাহিদা বেশি। এ ছাড়া কোল্ডস্টোরেজে বর্তমানে আলু নেই বললেই চলে। গতকাল স্থানীয় বাজার থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে ২৫ বস্তা কার্ডিনাল জাতের আলু কিনেছি। আজ শুক্রবার সকালে পাইকারি বাজারে ৫৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।’

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ টন আলু আমদানি করেছি। গ্রানুলা জাতের আলু ৪৯ থেকে ৫০ টাকা এবং কার্ডিনাল জাতের আলু ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দেশের বাজারে আলুর সংকট রয়েছে। সেই তুলনায় ভারত থেকে আমদানি চাহিদার চেয়ে কম হওয়ায় দামও বেশি। তবে গতকাল ভারত থেকে যে পরিমাণে আলু আমদানি হয়েছে, আগামী চার-পাঁচ দিন সে রকম থাকলে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা করে কমবে।’

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানির আইপির (আমদানি অনুমতি) সংখ্যা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যেখানে দিনে ৩ থেকে ৪ জন করে আমদানিকারক আইপি করতেন, এখন প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন আমদানিকারক আলু আমদানির আইপি নিচ্ছেন।