বরিশালে আটক কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহানসহ ১৫ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের করা একটি নাশকতা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশের করা নাশকতা মামলার ১৫ আসামিকে বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র দে বাদী হয়ে বুধবার ওই মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস আক্তার জাহান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বরিশাল-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান, নগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার, নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শামসুল আলম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব হানিফ হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দ্বীন ইসলাম, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক।
আরও গ্রেপ্তার হয়েছে, জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাকলাইন মোস্তাক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস হাওলাদার, নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য, আসলাম হাওলাদার, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মশিউর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব শেখ সাব্বির ও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী ফিরোজ আলম।
দলীয় সূত্র জানায়, এর আগে বুধবার সকাল সাতটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার পর সেখান থেকে বিলকিস আক্তার জাহান, আবুল হোসেন খান ও আলী হায়দারকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া নগরের নবগ্রাম সড়কে অভিযান চালিয়ে মনিরুজ্জামান খানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।