নাটোরের সিংড়া গোল-ই–আফরোজ সরকারি কলেজে নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানের নাচ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে অনুমতি ছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজটির অধ্যক্ষের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির ১২ জন শিক্ষককে।
এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা প্রথম আলোকে বলেন, অনুষ্ঠানের ব্যানারে প্রতিমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তাঁর নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনের মাধ্যমে সরকারি কলেজের সুনামের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও প্রতিমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজটির অধ্যক্ষের কাছে মৌখিকভাবে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন লিখিত একটি ব্যাখ্যা তাঁর দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, নবীনবরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সঙ্গে জড়িত ১২ শিক্ষককে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ইউএনওর কাছে অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনের পাঠানো ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘এইচএসসি পরীক্ষার আগে নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান করতে আমি ইচ্ছুক ছিলাম না। কিন্তু কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি দীপ্ত ঘোষসহ নেতৃবৃন্দের চাপে এবং কলেজে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়। কলেজের ভিপিকে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রধান অতিথি থাকার বিষয়ে সম্মতি নিতে বলি। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলেই আমাকে জানানো হয়েছে, তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে।’ সার্বিক বিষয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আপত্তিকর নাচ প্রদর্শনের অভিযোগের বিষয়ে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক জহির উদ্দিন বলেন, ভিপি দীপ্ত ঘোষের একক সিদ্ধান্তেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনার জন্য আয়োজনের প্রধান হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দীপ্ত ঘোষের বক্তব্য নিতে তাঁর মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।