পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান ঢাকা থেকে প্রকল্প এলাকায় নেওয়া হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো গাজীপুর ছেড়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে ঢাকা থেকে সড়ক পথে এই ইউরেনিয়ামের চালান ভোরে রওনা হয়। ভোর সাড়ে পাঁচটায় গাড়িবহরটি গাজীপুর মহানগরীতে প্রবেশ করে। এরপর ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি গাড়িতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে মেরামত শেষে সকাল সাতটার দিকে গাড়িগুলো ছেড়ে যায়। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেছেন, পাবনা-ঢাকা রুটের বঙ্গবন্ধু সেতুপথে প্রচণ্ড যানজট হয়। ফলে ইউরেনিয়াম বহনকারী যানবাহন আসতে সমস্যা হতে পারে। এ কারণেই সড়কটি যানজটমুক্ত রাখতে আজ ভোর পাঁচটা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে ইউরেনিয়াম প্রকল্পে পৌঁছে গেলেই বাস চলাচল শুরু হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছাবে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেছেন, গাজীপুরের সফিপুর বাজার এলাকায় একটি গাড়িতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে সেটি এক ঘণ্টার চেষ্টায় মেরামত করা হয়। পরে জানতে পারেন, টাঙ্গাইলে গিয়েও সেই গাড়িটি আবার বিকল হয়। সেখান থেকে মেরামত করে গাড়িগুলো রূপপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাশিয়া থেকে দেশে পৌঁছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান। আগামী ৫ অক্টোবর রূপপুর প্রকল্পে এ জ্বালানি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদনের সক্ষমতা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। প্রকল্পের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আগামী বছর প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায়। একই বছর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করার আশা করছে তারা।