বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর হাটের ইজারাদার সাকিল মাহমুদের কাছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতা–কর্মীরা সমঝোতার নামে চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না পেয়ে পরিবারের পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ তুলে আজ শুক্রবার থানায় লিখিত দিয়েছেন ইজারাদার।
শিকারপুর হাটের ইজারাদার সাকিল মাহমুদ দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার উজিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি বলেন, তিনি চলতি বছর (১৪৩১ সন) সর্বোচ্চ ২৬ লাখ টাকা মূল্য দিয়ে শিকারপুর হাট ইজারা নেন। ৫ মাস ধরে নিজেই খাজনা আদায় করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিকারপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আনিচ ফকির (৪৮) ও তাঁর ভাই ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য মিজানুর রহমান ফকির (৪৫) খাজনা তুলতে নিষেধ করেন। নিষেধ অমান্য করে খাজনা আদায় করতে গেলে বাধা দিয়ে সমঝোতা করতে বলেন। বিএনপি নেতাদের তিনি বলেছেন, সরকারকে রাজস্ব দিয়ে ইজারা নিয়েছেন, কিসের সমঝোতা? এতে বিএনপি নেতা ও তাঁর ভাই ক্ষিপ্ত হন।
সাকিল মাহমুদ বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় তাঁর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে তুর্য মাহমুদ খাজনা তুলতে যান। এ সময় বিএনপি নেতা আনিচ ফকির ও যুবদল নেতা মিজানুর রহমানসহ ১০–১২ জন খাজনা তুলতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তুর্যকে মারধর করে। খবর পেয়ে সাকিল, তাঁর ভাই ভাই লিটন, মো. মিঠু ও জুয়েল ঘটনাস্থলে যান। তখন সন্ত্রাসীরা লোহার রড, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। হামলাকারীরা লিটনের পেটের মধ্যে রড ঢুকিয়ে দিয়েছে। জুয়েলের হাত ভেঙে ফেলেছে ও মিঠুর মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
অভিযোগের ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে বিএনপি নেতা আনিচ ফকির বলেন, ‘সমযোতার নামে চাঁদা দাবির অভিযোগ সঠিক নয়। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর আহমেদ বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছেন। আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসাধীন থাকায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।