মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি (৩৪) নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন নিহত মেহেদীর ভাই ইউনুস আলী। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ বলেন, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর ১৩ জনের নামে মামলাটি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
মামলার বাদী ইউনুস আলী বলেন, ‘আমার ভাইয়ের অনাগত সন্তান তার বাবার স্পর্শ কখনোই পাবে না। ভাই হত্যার ন্যায়বিচার চাই। যাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি, তাদের নামেই মামলা করেছি। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে কাউকে আসামি করা হয়নি।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী ব্যাপারীপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশে ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান। তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁরা লাশ দাফন করা হয়।
হাসপাতালটির পরিচালক মহসিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আহত অবস্থায় ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদী হাসান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন মারা যান। মেহেদীর বুকে ও ফরহাদ হোসেনের মাথায় গুলির আঘাতে চিহ্ন দেখা গেছে। দুজনই একই এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।