সকালে স্থগিতের পর বিকেলে মসিউর রহমান রাঙ্গার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা

মসিউর রহমান রাঙ্গা
ছবি: প্রথম আলো

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার কাগজপত্র না দেওয়ায় আজ শনিবার সকালে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গার মনোনয়নপত্র সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরে ওই কাগজ জমা দেওয়ায় বিকেলেই তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে প্রার্থীদের যাচাই–বাছাই শেষে বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রংপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি এই আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এখানে এবার জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার। তিনি দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভাতিজা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, রংপুর-১ আসনে ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী শ্যামলী রায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহিন আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুম আলী।

এই আসনে মনোনয়ন স্থগিত রাখা দুজন হলেন বাংলাদেশ সংস্কৃতি মুক্তিজোটের প্রার্থী সবুজ মিয়া ও ওয়ার্কার্স পার্টির বখতিয়ার আহমেদ। মামলা নিষ্পত্তির কাগজপত্র না দেওয়ায় তাঁদের মনোনয়ন স্থগিত হয়েছে। সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশ সমর্থনকারী ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকা সঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বিএনএফের প্রার্থী জিল্লুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার ও সুমনা আক্তার। ১ শতাংশ সমর্থনকারী ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকা সঠিক না থাকায় বাকি তিনজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

রংপুর-৩ (সদর) আসনে ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ শতাংশ সমর্থনকারী ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকা সঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুল বাশারের মনোনয়ন বাতিল এবং মামলার একটি কাগজ না দেওয়ায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী একরামুল হকের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।