গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সতীশ রায় (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়নের মহিষতলী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক শীতল চন্দ্র পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত সতীশ রায় উপজেলার মহিষতলী গ্রামের শরৎ রায়ের ছেলে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ননীক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বকুল সরদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহিষতলী গ্রামে সড়কের পাশে সুদীপ্ত মৌলিকের গ্যারেজ। গ্যারেজের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ওই এলাকার রায়বাড়ি ও মণ্ডলবাড়ির কয়েকটি ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
তিন দিন আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই বিদ্যুৎ লাইনের একটি তার ছিঁড়ে যায়। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সদস্যরা তারের সংযোগ দিলে বিদ্যুৎ সচল হয়। তবে রায়বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। পরে রায়বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, গ্যারেজের মালিক সুদীপ্ত মৌলিক তাঁদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের তারটি কেটে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রায়বাড়ির লোকজন সুদীপ্তের কাছে তাঁদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের তার কেন কেটেছে তা জানকে চান। এ নিয়ে সুদীপ্তের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে সতীশ রায়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষ। এ সময় ৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় সতীশ রায় ও দীপংকর রায়কে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সতীশ রায়কে মৃত ঘোষণা করেন। দীপংকর রায়কে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।