সুপারি চুরির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে প্রতিবন্ধী কিশোরকে মারধর

গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউপির ভবনে প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায়
 ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সুপারি চুরির অভিযোগে প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের গ্রিলে বেঁধে রাখা হয়। মারধর করে প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই কিশোরকে বেঁধে রাখা ও মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

মারধরের শিকার হোসেন মিয়ার (১৫) বাড়ি খোলাহাটি ইউনিয়নের রথবাজার মাঝিপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যার দিকে সুপারি চুরির অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন হোসেন মিয়াকে আটক করে খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কোনো কর্মকর্তা–কর্মচারী ছিলেন না। পরে ভবনের গ্রিলের রড়ের সঙ্গে হোসেনের দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এসএম ময়নুল হুদা নামের একজনের ফেসবুক আইডি থেকে হোসেনকে বেঁধে রেখে মারধরের ভিডিও পোস্ট করা হয়। ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ঘটনা দেখতে এলাকার লোকজন ভিড় করেছেন। হোসেনের দুই হাত গ্রিলের সঙ্গে বাঁধা। বাইরে থেকে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে হোসেনের মাথা ও মুখ দুই হাত দিয়ে চেপে চড় দিচ্ছেন এক যুবকক। হোসেন হাতের রশি খোলার চেষ্টাসহ চিৎকার করছে।

প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখার পর হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাবা আনছার আলীর কাছে হোসেনকে তুলে দেন খোলাহাটি ইউপির সদস্য আহসান হাবীব। এ সম্পর্কে আহসান হাবীব বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর ওই প্রতিবন্ধীকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছি।’

খোলাহাটি ইউপির চেয়ারম্যান মাসুম হক্কানী বলেন, চুরির অভিযোগে পরিষদ ভবনে প্রতিবন্ধী কিশোর হোসেনকে বেঁধে রাখার ঘটনাটি কেউ তাঁকে জানাননি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।