রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নাবিল ইসলাম ওরফে আনন্দ (১৭) নামের এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের বানেশ্বর বাজার ক্লিনিকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
নাবিব ইসলাম উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। সে বানেশ্বর সরকারি ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ সকালে বাড়ি থেকে বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে রাজশাহী শহরের দিকে যাচ্ছিল নাবিল। বানেশ্বর এলাকায় গিয়ে নাবিল মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় আছড়ে পড়ে। এ সময় তাঁর মাথা থেঁতলে যায়। পড়ে গিয়ে নাবিল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। দুর্ঘটনায় সময় তার মাথায় হেলমেট ছিল না। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে সে মারা যায়।
পবা হাইওয়ে (শিবপুরহাট) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাক্কারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা তদন্ত করে জানতে পেরেছেন, নাবিলের মাথায় হেলমেট ছিল না। সে তার বাবার মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। গতি ছিল বেপরোয়া। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েছিল সে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, তাঁরা প্রায় প্রতিদিনই হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহী পান। তাঁদের সতর্ক করে মামলাও করা হয়। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না। গত মে মাসে হেলমেটের জন্য প্রায় ৫০টি মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।