সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আবার সরব হয়েছেন। তফসিল বাতিলের দাবিতে নেতা–কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছেন তিনি। তবে কর্মসূচি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা–কর্মীরা সটকে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের মিছিলে থাকা বিএনপির নেতা–কর্মীদেরকে ধাওয়া দিতে দেখা যায়।
আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে নগরের কালেক্টরেট মসজিদের সামনে থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে মিছিলটি নগরের বন্দরবাজার এলাকার করিমউল্লা মার্কেটের সামনে পৌঁছালে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন আরিফুল হক।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তরের পর গত ১৮ নভেম্বর তফসিল বাতিলের দাবি জানিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন। গত ২১ নভেম্বর তাঁর বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা।
আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে এই পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর আগে মেয়র থাকা অবস্থায় গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি দলীয় নির্দেশনা মেনে অংশ নেননি। ওই নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ৭ নভেম্বর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কাছে মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন আরিফুল হক চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আজ জুমার নামাজ শেষে নগরের কালেক্টরেট মসজিদ থেকে বের হন আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়ে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এ সময় তাঁরা তফসিল বাতিলের দাবি ও বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ–মিছিলে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাবুবুর রব ফয়সল, আশিক আহমদ চৌধুরী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম–আহ্বায়ক আবদুস সামাদ, মোদন মহন কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজল হোসেনসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাদের অংশ নিতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভ মিছিলটি বন্দরবাজার এলাকার করিমউল্লা মার্কেটের সামনে পৌঁছালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি করিমউল্লা মার্কেটের সামনে পৌঁছালে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা লালদিঘির পাড় এলাকার দিকে সটকে পড়েন। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ সদস্যদের মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ধাওয়া দিতে দেখা যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী ও আবদুর রাজ্জাক। তবে পুলিশ কাউকে কাউকে আটক করেনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।