এক সপ্তাহ ধরে দোতলা ভবনের জানালার সানশেডে আটকা পড়েছিল বিড়ালটি। সেখান থেকে সরতে পারছি না। প্রতিদিন রাত হলে বিড়ালটির ডাকের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসার শৌচাগারের বন্ধ থাকা জানালা খুলে দিলে বিড়ালটি সেখান থেকে সরে যায়।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকার ওই ভবনে এসে এভাবে বিড়ালটিকে মুক্ত করেন।
স্থানীয় লোকজন ও উপজেলা ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বাগানবাড়ি এলাকার ওই দোতলা বাড়ির বাসিন্দারা এক সপ্তাহ ধরে বিড়াল ডাকার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন। সোমবার সকালে বাড়ির লোকজন ছাদে গিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে জানালার সানশেডে বিড়ালটিকে বসে থাকতে দেখেন।
পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করে বিষয়টি জানান। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন।
একপর্যায়ে তাঁরা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা কসবা মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন ভূঁইয়ার বাসায় গিয়ে বন্ধ থাকা শৌচাগারের জানালা খুলে দেন। এরপর বিড়ালটি সেখান থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছয়-সাত দিন ধরে বিড়ালটি জানালার সানশেডে আটকা পড়েছিল বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। সকালে কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু বিড়ালটির কাছে যেতে পারছিলাম না। হঠাৎ মনে হলো, বিড়ালটি কোনো একটি পথ দিয়ে সেখানে পৌঁছেছে। পথটি হয়তো এখন বন্ধ। তাই দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের বাসায় গিয়ে দেখি, শৌচাগারের ভেতরে থাকা জানালা বন্ধ। এরপর জানালাটি খুলে দিলে বিড়ালটি সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসে।’