কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কোনো ভোটারকে দেখা যায়নি। মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কোনো ভোটারকে দেখা যায়নি। মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর

ছয় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ছয়টি, একটি আবার এজেন্টের

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় নারী ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ছয়টি বুথ রয়েছে। সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর বেলা দুইটা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় কেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে মাত্র ছয়টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে একটি ভোট দিয়েছেন এক প্রার্থীর এজেন্ট।

বেলা ২টা ১৫ মিনিটে বুথের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এই বুথে প্রথম ভোট পড়ে সকাল ৯টা ২২ মিনিটে। এরপর বেলা ১১টা, দুপুর ১২টা ও সর্বশেষ দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ভোট পড়ে। ছয়টি ভোটের মধ্যে পাশের একটি বুথের এক প্রার্থীর এজেন্টের ভোট আছে। বাকি পাঁচটি ভোট বাইরে থেকে আসা ভোটাররা দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে সোহেল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যখন কোনো ভোটার প্রবেশ করছেন, জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখছি হয়তো আমার বুথে আসবেন। এভাবে তাকিয়ে থাকছি, কিন্তু ভোটাররা আসছেন না।’

শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাহাজুল ইসলামের দেওয়া তথ্যমতে, কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ হাজার ১৯৫। বেলা দুইটা পর্যন্ত ১ নম্বর বুথে ৭ জন, ২ নম্বর বুথে ৪০, ৩ নম্বর বুথে ২৬, ৪ নম্বর বুথে ১৮, ৫ নম্বর বুথে ৩৮ ও ৬ নম্বর বুথে ৬ জন ভোট দেন। অর্থাৎ ছয় ঘণ্টায় মোট ১৩৫টি ভোট পড়েছে।

৬ নম্বর বুথে এক প্রার্থীর মাত্র একজন এজেন্টের দেখা পাওয়া গেল। নাম সাদিয়া সুলতানা। কথা প্রসঙ্গে জানা গেল, সাদিয়া সদ্য এসএসসি পাস করেছে। এখনো ভোটার হয়নি। সাদিয়ার কাছে ভোটার না হয়েও এজেন্ট হওয়ার কারণ জানতে চাইলে, সে হাসল। কিন্তু উত্তর দিতে পারল না।

কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। ৬ নম্বর বুথের এজেন্টের ব্যাপারে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাহাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর এজেন্ট আসছে। আমরা বেশি কিছু বলিনি। এ ছাড়া ওই বুথে অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট আসেনি।’ এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, অন্যজন উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান। বুলবুল কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর আপন ছোট ভাই।