নোয়াখালীতে পুলিশের গুলিতে আহত ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

মো. আসিফ
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে আহত ছাত্রদল কর্মী মো. আসিফ (২০) মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত আসিফ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারশিপুর ইউনিয়নের মীর আলীপুর গ্রামের আমির আলী মুন্সি বাড়ির মোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি স্থানীয় কেন্দুরবাগ এলাকার একটি ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ করতেন। বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে।

৫ আগস্ট জেলার সোনাইমুড়ী থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসিফ পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্ট দুপুরের পর আসিফ বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকায় ছাত্র-জনতার বিজয় উৎসবে ছিলেন। এমন সময় পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী থেকে খবর আসে সোনাইমুড়ী থানা থেকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। তখন চৌরাস্তা থেকে পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকযোগে কয়েক শ ছাত্র-জনতা সোনাইমুড়ী এলাকায় যান, যাঁদের মধ্যে আসিফও ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর আসিফ গুলিবিদ্ধ হন।

বাসিন্দারা জানান, সোনাইমুড়িতে ওই দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে পাঁচজন বিক্ষোভকারী। পরে বিক্ষোভকারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন একজন উপপরিদর্শকসহ পুলিশের তিন সদস্য। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সোনাইমুড়ী থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ওই দিন আসিফ ছাড়াও প্রায় অর্ধশত মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসিফ ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরিবারের আর্থিক দুরবস্থার কারণে পড়ালেখা ছেড়ে সম্প্রতি তিনি একটি ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ নেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।