মাদারীপুরে আড়িয়ালখাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসীর ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার তাল্লুক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চর কালিকাপুর গ্রামের হবি মালের স্ত্রী চম্পা বেগম (৪০), সেলিম শিকদার (২৬) ও আবদুল মাল (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাল্লুক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে আলম হাওলাদার, পাপ্পু হাওলাদারসহ একটি চক্র। গতকাল রাতেও কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সেখানে বালু উত্তোলন শুরু করেন তাঁরা। নদের পাড়ের লোকজন বাধা দিলে তাঁদের ওপর অতর্কিতভাবে হাতবোমা নিক্ষেপ করে আলম, পাপ্পু হাওলাদারসহ তাঁর সহযোগীরা। এ সময় হাতবোমার আঘাতে ওই তিনজন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চম্পা বেগমের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিম শিকদার বলেন, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই আলম ও পাপ্পু হাওলাদার ড্রেজার দিয়ে বালু তোলে। এতে নদীর পাড় ভেঙে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লোকজন মিলে নিষেধ করতে গেলে হত্যার হুমকি দিয়ে হামলা চালায়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলম ও পাপ্পু হাওলাদার। তাঁরা বলেন, আড়িয়ালখাঁ নদে তাঁদের কোনো ড্রেজার চলে না। তাঁদের নামে অন্য কেউ ড্রেজার (খননযন্ত্র) চালাচ্ছে। বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ্ আল মামুন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদ-নদীতে কোনোভাবেই অবৈধ ড্রেজার চলতে দেওয়া হবে না।
তাল্লুক এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব।