সিলেটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা সবাই শিক্ষার্থী ছিলেন। একসঙ্গে চলাফেরা ছিল তিনজনেরই।
নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার তাতীকোনা গ্রামের জুনেদ মিয়ার ছেলে সৈয়দ মোখলেছ মহান (২০), রাধানগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ ওরফে সায়েম (২১) এবং সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কালীবাড়ির আব্দুল হাসিমের ছেলে হাফিজুর রহমান (১৯)।
নিহত তিনজনের মধ্যে সৈয়দ মোখলেছ সিলেট কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, আব্দুল আজিজ ছাতক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং হাফিজুর রহমান সিলেটের বিদ্যানিকেতন স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁরা হলেন ছাতকের তাতীকোনা এলাকার সৈয়দ তাহমিদ আহমদ (১৮) ও ছাতক মণ্ডলিভোগ গ্রামের রফিক উল্লাহ ওরফে মাহি (১৮)। তাঁরা দুজনও এসএসসি পরীক্ষার্থী। হতাহতদের মধ্যে সৈয়দ মোখলেছ ও সৈয়দ তাহমিদ আহমদ চাচাতো ভাই।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার বাঘেরসড়ক এলাকায় জাফলংয়ের দিক থেকে সিলেটে আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোরে ছাতক থেকে সিলেটে পাঁচজন মিলে প্রথমে সিলেটের লামাকাজি এলাকায় খেজুরের রস খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সিলেটের জৈন্তাপুরে লাল শাপলার বিল দেখতে যান তাঁরা। শাপলা বিল থেকে সকালে সিলেটের দিকে ফেরার পথে প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্বা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সৈয়দ মোখলেছ মহান ও আব্দুল আজিজ সায়েম নিহত হন। পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পর হাফিজুর রহমানের মৃত্যু হয়। আহত রফিক উল্লাহ সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। আহত তাহমিদ আহমদও চিকিৎসাধীন।
সিলেটের তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।