শূন্য হাতে কৃষি খামারের সূচনা করেছিলেন মুজাহিদুল ইসলাম (৩৮)। নওগাঁর পোরশা উপজেলায় সীমান্তঘেঁষা নোনাহার গ্রামে ইজারা নেওয়া ৬৭ একর জমির ওপর তাঁর বিশাল খামার। নাম ‘ফ্রেশি ফার্ম’। নিজের বুদ্ধি, শ্রম আর ক্রাউডফান্ডিং বা অন্যের টাকা বিনিয়োগ করে মাত্র কয়েক বছরের মাথায় তিনি এখন সফল উদ্যোক্তা। গরুর খামার, ফলের বাগান, কুঁড়েঘর—সব মিলিয়ে তাঁর কয়েক কোটি টাকার প্রকল্প। মুজাহিদের খামারের ছবিগুলো তুলেছেন নওগাঁ প্রতিনিধি ওমর ফারুক
কুঁড়েঘর ম্যাঙ্গো রিসোর্টে আছে আটটি মাটির ঘর। বিনিয়োগকারী কিংবা পর্যটকেরা চাইলে এখানে গিয়ে থাকতে পারেন। ঘুরে দেখতে পারেন খামার, বাগান।খামারের এক পাশে আছে ড্রাগন ফলের বাগান।নওগাঁর পোরশার নোনাহার গ্রামে মুজাহিদের ড্রাগন ফলের বাগান। ফ্রেশি ফার্মে আমের বাগানও আছে।গ্রিনিফাই প্রজেক্টে গাছের নিয়মিত পরিচর্যা করেন মুজাহিদ।বাগানের এক পাশে কফির চারাও লাগানো হয়েছে। নাভি জাতের আমও আছে সীমান্তঘেঁষা ওই বাগানে। প্রজেক্ট বর্গায় গরু লালনপালন করা হয়। বিক্রির পর লাভের টাকার ভাগ পান বিনিয়োগকারীরা।খড়ের ছাউনি ও মাটির দেয়ালের ঘরগুলোতে যে কেউ গিয়ে থাকতে পারবেন। এক শয্যার ঘরের ভাড়া ১০০, আর দুই শয্যার ঘরের ভাড়া পড়বে ২০০ টাকা। সফল উদ্যোক্তার স্বীকৃতি পেয়েছেন মুজাহিদুল ইসলাম। পেয়েছেন আইপিডিসি নবীন উদ্যোক্তা স্মারক–২০২১।