ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৯ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আইঙ্গন এলাকা থেকে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে ধামরাই থানা–পুলিশের একটি দল।
গ্রেপ্তার নেতারা হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন (৬৮), ধামরাই থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মিকাইল আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ শিকদার ও স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মর্তুজ মিয়া, উপজেলার কুশরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই, কর্মী আহমদ আলী, আবুল হোসেন, মো. শরীফ ও লাভলু মিয়া।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ সকালে পৌর শহরের আইঙ্গন এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে জড়ো হন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁরা সেখানে সভা করেন। সভা শেষে নেতা-কর্মীরা চলে যাওয়ার সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৯ নেতা–কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা দেশে পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আওতায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সভা করে ফিরছিলাম। ফেরার সময় কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি দলের শীর্ষ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বানুমতি ছাড়া তাঁরা সমাবেশ করায় তাঁদের নিষেধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাঁরা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন এবং পুলিশের কাজে বাধা দেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
মামলার বাদী উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম। এ মামলায় আটক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।