এক লাইনে দুই ট্রেন, চালকদের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা

সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলস্টেশনে এক লাইনে বিপরীতমুখী দুটি ট্রেন চলে আসে। তবে ট্রেন দুটির চালকদের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়নি। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে
ছবি:সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলস্টেশনে এক লাইনে বিপরীতমুখী দুটি ট্রেন চলে আসে। দুই ট্রেনের মধ্যে দূরত্ব ছিল ৩০–৪০ মিটার। তবে চালকদের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় অল্পের জন্য ট্রেন দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ আর হয়নি। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের নিয়োগ পাওয়া সাতজন স্টেশনমাস্টার ও কয়েকজন পয়েন্টসম্যান স্টেশনমাস্টারদের সঙ্গে সমন্বয় করে এই স্টেশন এলাকায় বর্তমানে অ্যানালগ পদ্ধতিতে লাইন নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। শনিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে নতুন নির্মিত ৫ নম্বর লাইনে প্রবেশ করে অপেক্ষমাণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাখা হয়। এ সময় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ৪ নম্বর লাইনে প্রবেশ করানোর নির্দেশ থাকলেও দায়িত্বে থাকা স্টেশনমাস্টার খায়রুল আলম ও পয়েন্টসম্যান ভুল করে ৫ নম্বর লাইনে প্রবেশ করান। এ সময় চালক একই লাইনে আরেকটি ট্রেন দেখতে পেয়ে স্টেশনমাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেন থামিয়ে ফেলেন। এতে ৫ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলস্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশনমাস্টার মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ৪ নম্বর লাইনে প্রবেশ করানোর নির্দেশ থাকলেও দায়িত্বে থাকা স্টেশনমাস্টার খায়রুল আলম ও পয়েন্টসম্যান ভুল করে ৫ নম্বর লাইনে প্রবেশ করানোর কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই দুটি ট্রেনে আট শতাধিক যাত্রী ছিল।

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার খায়রুল আলম বলেন, প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পয়েন্টসম্যান আলমগীরকে ৪ নম্বর লাইনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন প্রবেশ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ভুলবশত ৫ নম্বর লাইনে ট্রেন প্রবেশ করানোর জন্য সংকেত দেন। তবে একই লাইনে আরেকটি ট্রেন দেখতে পাওয়ায় চালক ট্রেন থামিয়ে ফেলেন। এ কারণে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন দুটি রক্ষা পায়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।