রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল বোর্ডে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি বার্তা দেখা গেছে। তাতে ছাত্রসংগঠনটির ভয়ংকর রূপে ফেরার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কলেজের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। মামলারও প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে হয়েছে তদন্ত কমিটিও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রশাসন ভবনের ডিজিটাল বোর্ডে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও ফিরবে ভয়ংকর রূপে সাবধান! RGMSC-XR IMRAN’ লেখা স্ক্রল হচ্ছে। মুহূর্তেই এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। কলেজের ডিজিটাল বোর্ডে এভাবে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের হুঁশিয়ারি বার্তা প্রচার হওয়ায় অনেকেই দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
এই ভিডিও দেখে আজ সোমবার সকালে রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তাঁরা স্থান ত্যাগ করেন।
রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী বলেন, তাঁরা প্রশাসনিক কাজে ভেতরে ব্যস্ত ছিলেন। গতকাল রোববার বিকেল ৫টা থেকে ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ডিজিটাল বোর্ডে বাইরের লোকজন ওই লেখাটি দেখে তাঁকে জানিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে বোর্ডটি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় গতকাল নগরের বোয়ালিয়া থানায় জিডি করা হয়েছে। এখন সন্দেহভাজন একজনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। কে বা কারা এটি করেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
অধ্যক্ষ মু. যহুর আলী আরও জানান, এ ঘটনায় কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবদুল মতিনকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আজ কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। পাশাপাশি পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।