কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লা হীল জামানকে পঞ্চগড় জেলায় বদলি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
রৌমারী সীমান্তে মাদক ও গরু চোরাচালানে থানা–পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর ওসি আবদুল্লা হীল জামানকে বদলি করা হলো। তবে বদলির সঙ্গে সীমান্তে চোরাচালান ও এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রৌমারী থানার ওসি কুড়িগ্রামে ২১ মাস থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তাঁকে পঞ্চগড় জেলায় বদলি করা হয়েছে। এর সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ বা অন্য কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই। রুটিন অনুযায়ী তাঁকে বদলি করা হয়েছে।
আবদুল্লা হীল জামান ২১ মাস আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানা থেকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানায় যোগ দেন। চলতি বছর জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁকে রৌমারী থানায় বদলি করা হয়।
গত ২২ জুন রৌমারী উপজেলার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক আলোচনা সভায় সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, রৌমারী সীমান্তে মাদক ও গরু চোরাচালানে পুলিশ জড়িত। একই সঙ্গে তিনি রৌমারী থানার ওসি ‘গরু চোরাচালানে মাথাপিছু রেট’ বাড়িয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে ২৪ জুন প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘রৌমারী থানার ওসি গরু চোরাচালানে মাথাপিছু রেট বাড়িয়েছেন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া ৮ জুলাই প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে ‘সীমান্তে গরু-মাদক চোরাচালানে পাইলট প্রথা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।