ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলের সামনে প্রকাশ্যে বহনকারী ব্যক্তির অস্ত্রটি বৈধ বলে দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের জামাতা ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান। আজ সোমবার বেলা একটার পর মুঠোফোনে আলাপকালে প্রথম আলোর কাছে এ দাবি করেন জাহিদ হাসান।
ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত নন। তবে তাঁর শ্বশুর (আবদুস সালাম) ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে দুইবারের (১৯৯৬ ও ২০০৮) সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ওয়াহিদা হাসান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই তিনি (জাহিদ) নান্দাইলের প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখার জন্য ঢাকা থেকে এসেছিলেন। আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাঁকে ভালোবাসেন। তাই তিনি গতকাল রোববার নারী কর্মীদের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
জাহিদ হাসান আরও বলেন, ‘ঢাকা থেকে নান্দাইলে আসার পথে সড়কে অবরোধ ছিল। তা ছাড়া সন্ধ্যার পর অন্ধকার থাকায় বৈধ অস্ত্রসহ দেহরক্ষী কামরুজ্জামান আমার সঙ্গে ছিল। ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে আমার নিরাপত্তার কাজে যুক্ত রয়েছে। নান্দাইলে মিছিল শুরু হওয়ার আগে সে সরে গিয়েছিল। দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে দুলাভাই সম্বোধন করে তাঁদের কাছে ডেকে নেন। তখন দেহরক্ষী ছেলেটাও আমার অলক্ষ্যে আমার পাশে নিরাপত্তার জন্য দাঁড়ায়। এ সময় আপনারা (সাংবাদিকে) ছবি তোলেন। বিষয়টি যখন আমার নজরে পড়ে, তখন তাকে (দেহরক্ষী) সরিয়ে দিই। এটা একধরনের স্টুপিডিটি হয়েছে। এ ঘটনায় সারা দেশে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আমার শ্বশুরের প্রতিপক্ষ ছবিটি লুফে নিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।’
জাহিদ হাসান বলেন, ‘অস্ত্রটি সম্পর্কে জানতে পুলিশ এসেছিল। তাদের লাইসেন্সের কপি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশকে বোঝানো হয়েছে।’
আন্দোলনের নামে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ গতকাল রোববার বেলা একটার দিকে শহরের নতুনবাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা সদরে এসে কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া কিছু কর্মীর হাতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেছেন, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে।