আবার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে যাচ্ছি

সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ২০০৩ সালের ৩ মে যাত্রা শুরু করেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী তৌফিক রহমান চৌধুরী। বর্তমানে এখানে সাতটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ছয়টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়। এখানে বিজনেস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি নামে একটি ইনস্টিটিউট আছে, যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একেবারেই ব্যতিক্রম। শহরতলির বটেশ্বর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ দশমিক ৬ একর জায়গার মধ্যে দৃষ্টিনন্দন ও মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস আছে। মোট শিক্ষার্থী ৩ হাজার ২৭৫ জন। স্থায়ী শিক্ষক আছেন ৯১ জন।

মোহাম্মদ জহিরুল হক, উপাচার্য
প্রশ্ন

প্রথম আলো: এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠ উপাচার্য আপনি। এ ছাড়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা কেউ প্রথম উপাচার্য হলেন। কেমন লাগছে?

উপাচার্য: কনিষ্ঠ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হওয়ার অনুভূতি আনন্দের চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের। কারণ, মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম হাবিবুর রহমান ও মো. সালেহ উদ্দিন এবং ভাষাসংগ্রামী মো. আবদুল আজিজ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জই। কঠোর শ্রম, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এবং মেধা ও মনন দিয়ে আমি উপাচার্যের দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করতে পারলে এটি হবে আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সংযোজন।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বৈশিষ্ট্য দেখে শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন? অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আপনাদের ভিন্নতা কী?

উপাচার্য: আমাদের শিক্ষার্থীরা নিয়োগকর্তাদের সব ধরনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। আমরা মূলত জাতীয় ও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ও যত্নবান। আমাদের সিলেবাস যুগোপযোগী ও চাকরিবান্ধব। পরীক্ষা গ্রহণের সাত দিনের মধ্যে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। এটি সিলেটের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আছে। আরও নতুন নতুন বিভাগ চালুর পরিকল্পনা চলছে। লেখাপড়ার মানের জন্য মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে কেবল সিলেট বিভাগের চার জেলা নয়, সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসেন। একটা সময় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়তে আসতেন। পুনরায় বিদেশি শিক্ষার্থী আমরা ভর্তি করতে যাচ্ছি। বিশেষ করে সিলেট বিভাগের সীমান্তবর্তী ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, নেপাল ও ভুটান থেকে আমরা বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার সম্ভাব্যতা নিয়ে কাজ করছি।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: শিক্ষার পাশাপাশি আপনার বিশ্ববিদ্যালয় তো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমকেও উৎসাহিত করে। এ বিষয়ে যদি কিছু বলতেন।

উপাচার্য: আমরা শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহিত করি, প্রণোদনা দিই, ‘গবেষণায় কৃতকার্যদের পদোন্নতিসহ বেতন স্কেল’ ও অন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করি। আমরা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিকে কেবল টিচিং বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সরকার অনুমতি দিলে আমরা এমফিল, পিএইডডি ডিগ্রি কোর্স চালু করতে যা যা করণীয়, তা করতে প্রস্তুত। প্রকৃতপক্ষে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে শিক্ষা ও গবেষণার একটি সত্যিকারের সেন্টার অব এক্সিলেন্স।