কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ, রোহিঙ্গা কিশোরকে গলা টিপে হত্যা

কক্সবাজারের উখিয়ার দুটি আশ্রয়শিবিরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ এবং আরেকটি পৃথক ঘটনায় এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ও বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং (ক্যাম্প-২) ও ময়নারঘোনা (ক্যাম্প-১৫) আশ্রয়শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আশ্রয়শিবিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিহত কিশোরের নাম মোহাম্মদ এমরান (১৯)। সে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের জি-৮১ ব্লকের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা গলা টিপে এমরানকে হত্যা করে বলে জানা গেছে।

বিকেলে আশ্রয়শিবিরের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে মোহাম্মদ এমরানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোছাইন বলেন, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা গলা টিপে এই কিশোরকে হত্যা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে আজ সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্প-১৫ আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) গোলাগুলি হয়। এ সময় এনজিওর কর্মীসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকার ওমর হাকিমের ছেলে ও আমান নামের এনজিওতে ক্যাম্প-১৫ আশ্রয়শিবিরের একটি লার্নিং সেন্টারের শিক্ষক বেলাল উদ্দিন (৩৫), ব্লক ডি–৭–এর হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩০), ব্লক ৩–এর আবদুর রশিদের ছেলে মো. ইউনুস (২৫), বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১১) ব্লক ২–এর মো. আলমের ছেলে আবদুল্লাহ (১৮) ও ১৪ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল গনির মেয়ে হামিদা বেগম (৫০)।

গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে উদ্ধার করে আশ্রয়শিবিরের এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় সবাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোছাইন বলেন, সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে।