জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের পাশে মৃত উল্লেখ থাকায় বিপাকে পড়েছেন মো. তছলিম (৬৭) নামের এক ব্যক্তি। তিনি এখনো হজের নিবন্ধন করতে পারেননি। জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম ঠিক করার জন্য এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
মো. তছলিম লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উদমারা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মুনছুর আহাম্মদ। তছলিম বলেন, হজে যাওয়ার জন্য গত ৩১ জানুয়ারি তছলিম জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি তুলতে একটি কম্পিউটার দোকানে যান। কিন্তু অনলাইনে তা পাওয়া যায়নি। এরপর উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত।
তছলিম বলেন, ‘হজের নিবন্ধন করাতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখন আমাকে দালিলিকভাবে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে হবে। ভোটার তালিকায় নাম পুনর্বহালের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছি। নাম পুনর্বহাল করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।’এ ঘটনার দ্রুত সমাধান করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত কেউ মারা গেলে তাঁর নিকট আত্মীয় মৃত্যু সনদ নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করেন। আবেদন করলে ওই ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়। অথবা ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় তথ্য সংগ্রহকারীরা তথ্যে তাঁর নামের সঙ্গে মৃত কথাটি যুক্ত করে দিলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে তছলিমের নামের আগে মৃত লেখাটি কীভাবে এল, তা এখনো নিশ্চিত নয় নির্বাচন কার্যালয়।
রায়পুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বলেন, ‘সম্ভবত ২০২১ সালের দিকে তছলিমকে মৃত দেখানো হয়েছে। যেভাবেই হোক, এটা ভুলবশত হয়ে গেছে। আমরা তাঁর নাম পুনর্বহালের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন পাঠিয়েছি।’