খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধানদের সভায় সর্বসম্মতভাবে তাঁকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, গত ২৯ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে অভিভাবকহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্ব বণ্টনের একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ স্কুলের ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধানদের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমকে ওই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে ২০ আগস্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন, সহ-উপাচার্য মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, কোষাধ্যক্ষ অমিত রায় চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হলের প্রাধ্যক্ষ, সিন্ডিকেটের দুজন সদস্য, শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের পরিচালক, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক ও দুই অতিরিক্ত পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকসহ ৬৭ জন পদত্যাগ করেন।
শিক্ষক-কর্মকর্তারা জানান, একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সব পদের ব্যক্তিদের পদত্যাগের কারণে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এতে সব কাজকর্মই স্থবির হয়ে পড়েছিল।