রাজশাহীর পবা উপজেলার মদনহাটি গ্রামের ভ্যানচালক দুলাল হোসেন (৪৫) একটি গরু বিক্রি করেছিলেন। গরু বিক্রির সেই টাকার জন্য তাঁকে হত্যা করে লাশ বাঁশে বেঁধে একটি পুকুরে ডুবিয়ে রেখেছিলেন তাঁর দুই বন্ধু। কয়েক দিন পর বাঁশসহ লাশটা ভেসে উঠলে পুলিশ দুলালের দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
গতকাল সোমবার বিকেলে আদালতে দেওয়া স্বাকীরোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাঁরা দুলালকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) এ তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন পবার মদনহাটি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মো. হাসান (৩৮) ও মো. মানিক (২৪)। আরএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবা থানা-পুলিশ গত রোববার রাত পৌনে ৯টায় আসামি হাসানকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরেক আসামি মানিককে রাত দেড়টায় পবার ভেড়াপোড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার দুজনের দেখানো স্থান থেকে নিহত দুলালের কিছু ব্যবহার্য মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর পবা থানা-পুলিশ মদনহাটি গ্রামের একটি পুকুর থেকে দুলালের লাশ উদ্ধার করে।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহত দুলাল ও গ্রেপ্তার দুই আসামি বন্ধু ছিলেন। দুলাল কয়েক দিন আগে গরু বিক্রি করেছিলেন। ওই টাকা তিনি সঙ্গেই রাখতেন। দুলাল নিজে মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মাদক সেবনও করতেন মানিক ও হাসানের সঙ্গে। মূলত দুলালের কাছে থাকা ১৮ হাজার টাকা নেওয়ার জন্যই তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মানিক ও হাসান। শ্বাসরোধে দুলালকে হত্যার পর লাশ বাঁশে বেঁধে বাঁশটি পুঁতে রাখা হয়, যাতে লাশটি ভেসে না ওঠে। কিন্তু গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে বাঁশসহ দুলালের লাশ পানিতে ভেসে ওঠে।