সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন প্রার্থীর দুজনই কোটিপতি। এর মধ্যে একজন বছরে দেড় কোটি টাকার বেশি আয় করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এ তথ্য জানা গেছে। ৮ মে এই উপজেলায় ভোট হবে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইয়ে আছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি ও শাহিদুর রহমান চৌধুরী। তাঁরা দুজনই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। এ ছাড়া ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু সুফিয়ানও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, তিন প্রার্থীর সবাই ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে মঞ্জুর ও সুফিয়ান কোটিপতি। সম্পদে সবার শীর্ষে আছেন মঞ্জুর। তিন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম সম্পদশালী শাহিদুর। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। মঞ্জুর ও শাহিদুর স্নাতক পাস হলেও সুফিয়ান মাধ্যমিক উত্তীর্ণ।
সম্পদের দিক দিয়ে সবার ওপরে থাকা মঞ্জুর কাদির বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৫ টাকা। মঞ্জুরের ৭ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৫৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। তাঁর স্থাবর সম্পদের মধ্যে ১৫ বিঘা কৃষিজমি, ৫ বিঘা অকৃষিজমি, একটি দোতলা ভবন এবং ঢাকার বসুন্ধরায় একটি প্লট আছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে তাঁর ১ হাজার ৫২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার ব্যাংকঋণ আছে।
মঞ্জুরের পরপরই সম্পদের দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন আবু সুফিয়ান। তাঁর বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৩ টাকা। তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮০৯ টাকা। সুফিয়ানের ১ কোটি ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৬ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। তাঁর স্ত্রীর রয়েছে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদ।
সুফিয়ানের ৩ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার ৮৩ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে। এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে তাঁর পৈতৃক অবণ্টিত কৃষিজমিও আছে। তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ আছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ৯৫০ টাকার। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে পৈতৃক অবণ্টিত কৃষি ও অকৃষিজমিও আছে। এক আত্মীয়র কাছে সুফিয়ানের ঋণ রয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকার।
শাহিদুর রহমান চৌধুরীর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তাঁর ৫ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। শাহিদুরের স্থাবর সম্পদের মধ্যে ১১ শতক কৃষিজমি, ৭ শতক অকৃষিজমি ও দোতলা একটি ভবন আছে। এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে যৌথ মালিকানায় থাকা ৩০ শতক কৃষিজমির মধ্যে সাড়ে ১১ শতক তাঁর। শাহিদুরের স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৬ শতক কৃষিজমি আছে। এ ছাড়া শাহিদুরের ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ব্যাংকঋণ রয়েছে।