ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় সাংবাদিক সৌগত বসুর মা-বাবাসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন গ্রামের পূর্বপাড়ায় বসু বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন।
জখম হওয়া তিনজন হলেন সাংবাদিক সৌগত বসুর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু বসু (৬৫), মা কাকলী বসু (৬০) ও প্রতিবেশী কিশোরী প্রীতি মালো। সাংবাদিক সৌগত বসু দৈনিক আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে ঢাকায় কর্মরত।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক অর্ণব বলেন, শ্যামলেন্দু বসু মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাঁর মাথার হাড় ভেঙে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার জন্য পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্য দুজনের আঘাত গুরুতর নয়।
স্বজনেরা জানান, রাতে তাঁরা টিভি দেখছিলেন। হঠাৎ ঘরের ভেতর অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে দেখতে পেয়ে চমকে যান। অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ধাওয়া দিলে তিনি বাড়ির দোতলায় অবস্থান নেন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্যামলেন্দু বসুর মাথায় কোপ দেন ওই ব্যক্তি। পরে অন্যরা এগিয়ে এলে তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জীবন কুমার মণ্ডল বলেন, রাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন শ্যামলেন্দু দা ও তাঁর স্ত্রীকে কোপানো হয়েছে। আর গৃহকর্মীর মাথায় ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক সৌগত বসু বলেন, ‘বাড়িতে আমার মা–বাবা ছাড়া কেউ থাকেন না। আমার অসুস্থ মাকে দেখভাল করত প্রতিবেশী প্রীতি মালো। তাঁরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন নাকি একাধিক দুর্বৃত্ত ছিল তা বলা যাচ্ছে না। তবে এলাকায় আমাদের কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। তবে এটি নিছক চুরি-ডাকাতির ঘটনা নয়, এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে।’
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে চুরি করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।