কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছিল ৫৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের দুটি পোপা মাছ। প্রথমে ট্রলারের মালিক মাছ দুটির দাম হাঁকিয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা। তবে আশানুরূপ দাম না পেয়ে শেষে বাধ্য হয়ে ট্রলারের মালিক মাছ দুটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে আবদুল গণির মালিকানাধীন ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামে একটি ট্রলারে ২৪ কেজি ৯০০ গ্রাম ও ৩০ কেজি ৩০০ গ্রামের দুটি পোপা মাছ ধরা পড়ে। পরে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের ফিশারিঘাটের মোহাম্মদ ইছাহাক সওদাগর নামের একজন মাছ ব্যবসায়ী মাছ দুটি কিনে নেন। ট্রলারের মালিক আবদুল গণি বলেন, মাছ দুটি স্ত্রী প্রজাতির হওয়ায় তিনি আশানুরূপ দাম পাননি।
আবদুল গণি বলেন, মাছ দুটি ধরা পড়ার পর টেকনাফের সেন্ট মার্টিন জেটির ফিশারিঘাটে তিনি দাম হাঁকিয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা। ওই সময় নুর মোহাম্মদ নামের একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী আট লাখ টাকায় মাছ দুটি কিনতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি বেশি দামের আশায় মাছ দুটি বিক্রি করেননি। পরে মাছ দুটি কক্সবাজারে পাঠালে এর চেয়ে কম দাম বলেন ক্রেতারা। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে মাছ দুটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে।
স্থানীয় লোকজনের কাছে মাছ দুটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত। এ মাছের মূল আকর্ষণ হলো পেটের ভেতরে থাকা পটকা বা বায়ুথলি (এয়ার ব্লাডার)। এই বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়। এ জন্য পোপা মাছের এমন চড়া দাম।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ বলেন, চলতি বছর স্থানীয় একটি ফিশিং ট্রলারে আরও একটি কালা পোপা মাছ ধরা পড়েছিল। এই মাছের পটকা থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়। তাই এ মাছের এত দাম চাওয়া হয়।