দফায় দফায় বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গাইবান্ধায় সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে এসব এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে পড়েছে। বেশ কিছু এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গতকালের চেয়ে আজ সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে তিস্তার পানির উচ্চতা ১১ সেন্টিমিটার কমেছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরের নিম্নাঞ্চলে আবারও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সাঘাটার মুন্সিরহাট, খলায়হারাসহ বেশ কিছু এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও পানি কমতে শুরু করেছে। আজ দুপুর ১২টায় ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি ৮২ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার বিপৎসীমার ৩০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।