জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত নয়টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার গরুহাটি এলাকা থেকে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার গাজী শামীম (৩৫) বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি এই হত্যা মামলার এজাহারে থাকা পাঁচ নম্বর আসামি গাজী আমর আলীর ছোট ভাই। তবে শামীমের নাম এজাহারে ছিল না। এ নিয়ে এই মামলায় প্রধান আসামি মাহমুদুল আলমসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
জামালপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরমান আলী প্রথম আলোকে বলেন, গোলাম রব্বানি হত্যা মামলায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দিতে গাজী শামীমের নাম উঠে এসেছে। প্রাথমিক তদন্তেও ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
গত ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। পথে একদল সন্ত্রাসী তাঁকে বেদম মারধর করে ফেলে রেখে যায়। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গোলাম রব্বানি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
ওই ঘটনায় গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। এজাহারে সেখানকার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (বরখাস্ত) মাহমুদুল আলম, তাঁর ছেলে রিফাতসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে।