বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সজল মিয়া (৪৫) নামের এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় আরও দুই কৃষক গুরুতর জখম হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলিহাটা দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সজল মিয়া তেলিহাটা দক্ষিণপাড়ার মহির উদ্দিন খোকার ছেলে। আহত দুজন হলেন একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সোহেল (৩৫) ও রুবেল (৪৫)। তাঁদের দুজনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তেলিহাটা গ্রামের মাঠে বরেন্দ্র সেচ প্রকল্পের মালিকানা নিয়ে ওই গ্রামের কৃষক সজল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে জনি মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বছর দেড়েক আগেও একবার সজলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। একই বিরোধের জেরে আজ সকালে জনি, শরিফুল ও আরিফুলের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন সজলের ওপর হামলা করে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ ছাড়া সজলের পক্ষ নেওয়ায় সোহেল ও রুবেলকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১২টার দিকে সজলকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত সিরাজুলের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালান।
জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সজল মিয়া মারা যান। সোহেল ও রুবেলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। দুজনের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল বলেন, বরেন্দ্র পানি সেচ প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে সজলের সঙ্গে প্রতিবেশীর বিরোধ চলছিল। দ্বন্দ্বের জেরে আগেও হত্যাচেষ্টা করেছিল প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে মামলা চলমান। একই বিরোধের জেরে আজ প্রতিপক্ষের লোকজন সজলকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ছাড়া অন্য দুজনকেও ছুরিকাঘাত করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।