কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নবজাতকের বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্রে (স্ক্যানু ওয়ার্ড) শর্টসার্কিট থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওয়ার্ডে থাকা নবজাতকদের দ্রুত বাইরে আনার পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া নবজাতক জেলার কুমারখালী উপজেলার শানপুকুরিয়া গ্রামের আবদুল হান্নান-নূরজাহান দম্পতির ছেলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, স্ক্যানু ওয়ার্ডের ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ায় শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। জন্মের পর বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেওয়া শিশুদের সাধারণত স্ক্যানু ওয়ার্ডে রাখা হয়।
স্বজনেরা জানান, গর্ভধারণের সাত মাসের মাথায় তিন দিন আগে গৃহবধূ নূরজাহান দুই পুত্রসন্তান প্রসব করেন। এর মধ্যে একজন মারা যায়। অন্যজনকে চিকিৎসক হাসপাতালের স্ক্যানু ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে ভারী বৃষ্টি হলে হাসপাতালের ছাদে পানি জমে যায়। একপর্যায়ে হাসপাতালের ছাদ চুইয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ে স্ক্যানু ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক তারে শর্টসার্কিট থেকে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে নার্সরা দ্রুত ওয়ার্ডে থাকা আট নবজাতককে বাইরে বের করে আনেন। এ সময় পাশের ওয়ার্ড থেকে নূরজাহান দ্রুত ছুটে এসে তাঁর নবজাতককে কোলে নেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, স্ক্যানু ওয়ার্ডে ধোঁয়া সৃষ্টি হওয়ায় বাইরে আনার পর ওই নবজাতক মায়ের কোলে ১৫ মিনিট ছিল। এর মধ্যে সে মারা যায়। পরিবার লাশ বাড়ি নিয়ে গেছে। ছাদ ছিদ্র হওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে কিছুদিন পর সেটা মেরামত করে যায়। তবু প্রতিটি ওয়ার্ডে বৃষ্টির পানি পড়ছে।