সিলেটের সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। আজ রোববার দুপুরে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের (মেট্রো) সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ। এতে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
অভিযানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রান্নায় ব্যবহৃত তেল পরবর্তী সময়ে কী প্রক্রিয়ায় ফেলে দেওয়া হয়, এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি সুলতান’স ডাইন। এ ছাড়া মাংস ধোয়ার জন্য বাঁশের ঝুড়ি ব্যবহার করা, খাবারে ব্যবহৃত মসলা ও উপকরণ যথাযথ প্রক্রিয়ায় আমদানি করে আনা হয়েছে কি না, এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। অভিযানে দেখা যায়, মাংসের গুদামে জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল না। এতে মাংসগুলো সংরক্ষণে বিপত্তি দেখা দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এসবের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
সুলতান’স ডাইনকে জরিমানা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, রান্নায় ব্যবহৃত তেল কোন প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করা হয়, সেটি তারা বলতে পারেনি। তারা শুধু জানিয়েছে তেলগুলো ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু আইনে আছে ব্যবহৃত তেল যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে ধ্বংস করতে হবে। মাংস ধোয়ার জন্য বাঁশের তৈরি ঝুড়ি ব্যবহার করা হচ্ছিল। বাঁশের ঝুড়ি থেকে কাঠি খাবারে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য আইনে এটি ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি তাদের রান্নায় ব্যবহৃত মসলাসহ বিভিন্ন উপকরণ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেনি। এ ছাড়া রান্নার জন্য রাখা মাংসগুলো নষ্ট না হলেও মাংসগুলো কবে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং কত দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে, এর কোনো তারিখ নেই।
শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, সুলতান’স ডাইনকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে। পাঁচ দিনের মধ্যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে ঠিক করার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে একই কর্মকাণ্ড দ্বিতীয়বার প্রমাণিত হলে অধিক জরিমানার পাশাপাশি কঠোর দণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অর্থদণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে সুলতান'স ডাইন সিলেটের ব্যবস্থাপক মোর্শেদ মিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোক্তা অধিকারের দল অভিযানে সিম্পল কিছু ইন্সট্রাকশন দিয়েছেন। ইন্সট্রাকশনগুলো দেওয়ার পাশাপাশি সতর্কতামূলক কিছু জরিমানা করে গেছেন।’
এদিকে গত শনিবার দুপুরে সিলেটের কালীঘাট ও আম্বরখানা এলাকায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।