সংঘর্ষ
সংঘর্ষ

নরসিংদীতে সিএনজিস্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় সিএনজিস্ট্যান্ড দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত মো. আলম মিয়া (৫৫) মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর পাঁচদোনা মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শতাধিক ব্যক্তি।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আজ বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলম মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে একদল ব্যক্তি পাঁচদোনা মোড়ে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁদের মহাসড়কে অবস্থান করতে দেওয়া হয়নি।

আলম মিয়া সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকার আলিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মো. লাল মিয়ার সমর্থক ছিলেন। ১৭ ডিসেম্বর রাত নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আলম মিয়া পিটুনিতে এবং পাঁচদোনা এলাকার শাহীন মিয়ার ছেলে মো. রনি (৩২) ও মিজান মিয়ার ছেলে শুভ (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মো. লাল মিয়া ও ইউনিয়নে ছাত্রদলের সাবেক নেতা মোসাদ্দেক হোসেনের সমর্থকেরা ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটান। লাল মিয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের কর্মী আর মোসাদ্দেক হোসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের কর্মী। ঘটনাস্থলটি সদর উপজেলার হলেও তা পলাশের সংসদীয় এলাকায় পড়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, পাঁচদোনা সিএনজিস্ট্যান্ড দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৭ ডিসেম্বর রাতে লাল মিয়া ও মোসাদ্দেকের সমর্থকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ান। গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে মোসাদ্দেকের কর্মী রনির পায়ে ও শুভর পেটে গুলি লাগে। পিটুনিতে মাথায় লাঠির আঘাতে আহত হন আলম মিয়া। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মোসাদ্দেকের পক্ষের ক্ষুব্ধ লোকজন টায়ারে আগুন দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ব্যাপারে কথা বলতে লাল মিয়া ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা ধরেননি।