নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ছোটদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বড়দের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে কান্দিঊড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল কাইয়ুমের বাড়ি বিষ্ণুপুর গ্রামে। আহত ব্যক্তিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিষ্ণুপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। গতকাল বিকেলে এক পক্ষের শিশু-কিশোররা গ্রামে পতিত জমিতে ফুটবল খেলছিল। একপর্যায়ে বল চলে যায় প্রতিপক্ষের এক ব্যক্তির খেতে। বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষের লোকজন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এতে আবদুল কাইয়ুমসহ উভয় পক্ষের ২৩ জন আহত হন। পরে খবর পয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত আবদুল কাইয়ুম (৩৯), মো. হাবিবুল্লাহ (৪৫), মাসুদ রানা (২৪), মামুন মিয়া (২৫), কামরুল হাসান (৩৫), মিনারুল ইসলাম (৩২), হিরন মিয়া (১৩), ইব্রাহিম মিয়া (৫৫) ও আজিবুর রহমানকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে রাত পৌনে ৯টার দিকে আবদুল কাইয়ুম মারা যান। অন্যরা ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কান্দিঊড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সাজু মিয়া বলেন, বিষ্ণুপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ রয়েছে। বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে দুপক্ষের বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গত কয়েক মাস সেখানে পরিস্থিতি শান্ত ছিল। গতকাল বিকেলে বাড়ির পাশে পতিত জমিতে ফুটবল খেলতে যায় একটি পক্ষের শিশু-কিশোরেরা। খেলার একপর্যায়ে বল চলে যায় প্রতিপক্ষ একজনের জমিতে। এ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে আবদুল কাইয়ুম নিহত হয়েছেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।