এবার পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে রাঙামাটির হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং কম। কোনো কোনোটির ২০-৩০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে, ৭০-৮০ শতাংশ ফাঁকা রয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে দুই দিন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আগাম বুকিং হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দুশ্চিন্তায় আছেন।
সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার পর্যন্ত তাঁর রিসোর্টের ১০টি কক্ষের একটিও ভাড়া হয়নি। শুধু ঈদের ছুটি শেষে দুই দিন আগাম বুকিং আছে কয়েকটি কক্ষ। অন্যান্য বছর ঈদের ছুটির প্রথম দিন থেকে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সাজেকে পর্যটনকেন্দ্রের সব রিসোর্ট-কটেজে শতভাগ বুকিং ছিল। এর আগে বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে কক্ষ না পেয়ে শত শত পর্যটক রাস্তায়-বারান্দায় রাত কাটিয়েছেন। এবার ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে চিত্র অন্য রকম। রাঙামাটির পর্যটন কমপ্লেক্স ও হোটেল-মোটেলগুলোতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বুকিং হয়েছে।
রাঙামাটি শহরের আশপাশে রাঙাদ্বীপ ও বার্গী লেক এবার পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ। চলতি বছর দুই বিনোদনকেন্দ্র পর্যটকদের রাতযাপনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ওই দুই বিনোদনকেন্দ্রে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বুকিং রয়েছে।
পর্যটন ব্যবসয়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সাজেকে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে ১১২টি রিসোর্ট-কটেজ আছে। দুটি বাদে সব কটির অবস্থা খারাপ।
বার্গী লেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমেট চাকমা বলেন, ‘আমাদের কটেজ, হাউস বোট ও ক্যাম্পিং স্পটে ১০০ জন পর্যটক থাকতে পারবেন। ঈদুল আজহার ছুটিতে ৯০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।’
রাঙাদ্বীপ রিসোর্টের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আল মাস আলী খান বলেন, ‘ঈদুল আজহার ছুটিতে আমাদের এখন ৭০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে ৮০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হবে। আমাদের সব ধরনের সুবিধা রয়েছে।’
রাঙামাটি হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মঈন উদ্দিনের আশা, হোটেল-মোটেলে বুকিং কম হলেও এবার পর্যটক মোটামুটি আসবেন। কারণ, কাপ্তাই লেক ও ঝরনাগুলো সচল হচ্ছে। লেক-পাহাড় দেখতে মানুষ আসবেন।