কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ের পাদদেশে পানের বরজে কাজ করার সময় দুজনকে অপহরণের সাড়ে ৩৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাহারছড়ার জাহাজপুরার গহিন পাহাড়ের জিরি এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার দুজন হলেন উপজেলার জাহাজপুরা এলাকার বাচা মিয়ার ছেলে রহিম উদ্দিন (৩২) এবং মো. সরোয়ারের ছেলে মো. রিদুয়ান (১৬)। রিদুয়ান জাহাজপুরা মডেল একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র। তাঁরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
অপহৃত দুজনকে উদ্ধারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম। তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের কবলে থাকা ওই দুজনকে অনেক মারধর করা হয়েছে। উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, অপহরণের ঘটনাটি জানার পরপরই পুলিশ, গ্রাম পুলিশ, গ্রামবাসীর সহায়তায় পাহাড়ে পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে সোমবার সকালে অপহৃত পরিবারের কাছে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। পরে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তাদের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গহিন পাহাড় ঘিরে ফেলে পুলিশ ও গ্রামবাসী। পরে অপহৃত দুজনকে উদ্ধার করা হয়। তবে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান। অপহৃত দুজন সুস্থ হওয়ার পর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপহরণকারীরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বলে জানা গেছে। রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ের পাদদেশে পানের বরজে কাজ করার সময় দুজন কৃষককে কুপিয়ে জখমের পাশাপাশি দুজনকে অপহরণ করে তারা। জখম দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহরণের শিকার রিদুয়ানের বাবা সরোয়ারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে। তখন মুক্তিপণ হিসেবে তারা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। দাবি করা টাকা না দিলে দুজনের লাশ নিতে প্রস্তুত থাকার কথা বলে অপহরণকারীরা।