ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়িতে যাওয়ার পথে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তির ১১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর নাম মো. নুরুল করিম ওরফে জুয়েল।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ফাজিলের ঘাট সড়কে কালা মিয়ার দোকান–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হাতকড়া পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে তাঁকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে নুরুল করিমকে উপজেলার বসুরহাট রোডের ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের মিরুর পোল এলাকায় সড়কের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যান ছিনতাইকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, নুরুল করিম ইসলামী ব্যাংক দাগনভূঞা শাখা থেকে ১১ লাখ টাকা তুলে অটোরিকশায় বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টের কাছে পৌঁছালে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি তাঁর অটোরিকশার গতি রোধ করে। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে নুরুল করিমকে টেনেহিঁচড়ে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলে নেন। গাড়িতে চোখ বেঁধে তাঁকে মারধর করে সঙ্গে থাকা ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যান ছিনতাইকারীরা।
ভুক্তভোগী নুরুল করিমের চাচাতো ভাই দাগনভূঞা পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার তাঁদের একটি জমি রেজিস্ট্রি করার কথা। ওই জমি কেনার জন্য রোববার দুপুরে ইসলামী ব্যাংক দাগনভূঞা শাখা থেকে ১১ লাখ টাকা তোলেন নুরুল করিম। টাকা নিয়ে অটোরিকশায় করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে ফাজিলের ঘাট সড়কে কালা মিয়ার দোকান–সংলগ্ন এলাকায় চারজন ছিনতাইকারী নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তোলেন। এরপর চোখ বেঁধে মারধর করে সঙ্গে থাকা ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন তাঁরা।
একরামুল হক আরও বলেন, ছিনতাইকারীরা ওই গাড়িতে করে উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের মিরুর পোল এলাকায় নিয়ে সড়কের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যান নুরুল করিমকে। পরে নুরুল করিম জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল দেন। পুলিশ ওই স্থান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাসান ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, ইসলামী ব্যাংক দাগনভূঞা শাখা এবং ফাজিলের ঘাট সড়কের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।